কাতার মধ্যপ্রাচ্যের একটি দ্রুত বিকাশমান দেশ, যেখানে বিদেশি কর্মীদের জন্য রয়েছে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ। বৈধ ওয়ার্ক ভিসা থাকলে আপনি কাতারে কাজ করার পাশাপাশি সামাজিক ও আইনগত সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। নির্মাণ, তেল-গ্যাস, স্বাস্থ্যসেবা, আইটি, ব্যাংকিং এবং সেবা খাতে বিদেশি কর্মীদের জন্য কাতারে চাহিদা অনেক। করমুক্ত বেতন, উন্নত অবকাঠামো এবং আন্তর্জাতিক কর্মপরিবেশ কাতারকে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে।
বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমবাজারের মানচিত্রে কাতার দীর্ঘদিন ধরেই একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করে রেখেছে। মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই দেশ হাজারো বাংলাদেশি শ্রমিকের রুটিরুজির অন্যতম আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত।
কাতারের ভিসা
বর্তমান কাতার সকল ধরনের ভিসা চালু রয়েছে। ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে যে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, তা আজ অনেকটাই বিলুপ্ত। নির্মাণ খাতের কর্মচাঞ্চল্য কমে যাওয়ায় হাজার হাজার কর্মী দেশে ফিরছেন বা বেকার হয়ে কাতারেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ২০২৫ সালে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য কাতার কোম্পানি ভিসা চালু রয়েছে। বর্তমান কাতার সরকার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করছে। কোম্পানি ভিসা পেতে হলে অবশ্যই আবেদনকারীদের মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট, চাকরির অফার লেটার ও স্পন্সরশিপ থাকতে হবে।

কাতার এবং ওমানে কাজের সুযোগ সংকুচিত হয়ে এসেছে, এবং কাজ না পাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। কাজের নিশ্চয়তা না থাকলে, এই দুটি দেশে যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, এবং দোকানে কিছু কাজের সুযোগ রয়েছে যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা জরুরি।
কাতার কোন কাজের চাহিদা বেশি?
কাতার মধ্যপ্রাচ্যের একটি ধনী দেশ। এশিয়া মহাদেশের এই দেশে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা রয়েছে। বিদেশি কর্মীদের বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। কাজের ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি জানতে হবে।

বর্তমান কাতারে কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, ড্রাইভিং, ইলেকট্রিশিয়ান, ক্লিনার, ওয়েল্ডিং শ্রমিক, পেইন্টার, ফ্যাক্টরি শ্রমিক, প্লাম্বার, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী, মেকানিক ইত্যাদি কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে।