পর্তুগাল ইউরোপের এক আকর্ষণীয় গন্তব্য, যেখানে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য রয়েছে নানা সম্ভাবনা। বৈধ কাজের অনুমতি পেলে আপনি দেশটিতে কাজ করার পাশাপাশি সামাজিক ও আইনগত সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। কৃষি, নির্মাণ, আইটি, পর্যটন এবং সেবা খাতে বিদেশি কর্মীদের জন্য পর্তুগালে রয়েছে ভালো সুযোগ, যা আপনাকে একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ কর্মজীবনের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
পর্তুগাল ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি উন্নত দেশ। দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেনজেনভুক্ত হওয়ায় কর্মপ্রত্যাশীদের পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও ভ্রমণপিপাসু মানুষদের অন্যতম প্রধান পছন্দ বা স্বপ্নের গন্তব্য।
পর্তুগাল যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এগুলো আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা ভালো। এতে কোনো কাগজে ত্রুটি থাকলে সংশোধনের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন। আর ভিসার ধরনভেদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যেও পরিবর্তন আসে। যেমন, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, ট্রাভেল বা টুরিস্ট ভিসার জন্য টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন, ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স, রিটার্ন টিকিট, ব্যাংকিং লেনদেনের হিসাব ইত্যাদি।
তবে, গুরুত্বপূর্ণ যেসব কাগজপত্র সব ভিসার আবেদনেই কম-বেশি লাগে, সেগুলো নিচে দেওয়া হলো:
- বৈধ পাসপোর্ট
- ছবি
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- ভিসা আবেদনের ফি
- স্কিল সার্টিফিকেট বা কাজের যোগ্যতার প্রমাণ ( যদি থাকে )
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ( যদি থাকে )
পর্তুগাল যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে পর্তুগালের কোনো ভিসা আবেদন কেন্দ্র না থাকায় আপনাকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত পর্তুগালের ভিসা অফিস থেকে ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু আপনার যদি পর্তুগালে কোনো পরিচিত কেউ থাকে, তার রেফারেন্সে সেখান থেকেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পর্তুগালে ডি-১ ওয়ার্ক ভিসা
SJ Global Network দিচ্ছে দারুণ সুযোগ - বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছে সহজ ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে। ভিসা না হলে অগ্রিম প্রদানকৃত সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
⏳ ভিসা প্রসেসিং সময়: মাত্র ৬ মাস
📦 যেসকল সেবা প্রদান করা হবেঃ
✅ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
✅ এয়ার টিকিট
✅ VFS এপয়েন্টমেন্ট ডেট
✅ ম্যানপাওয়ার
✅ ইন্সুরেন্স
✅ TRC
পর্তুগালে কাজের চাহিদা
পর্তুগালে দক্ষ কর্মীর সংকট থাকায় সব কাজেরই চাহিদা রয়েছে। তবে ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, কারখানা শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, এসব কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এবং এসব হাতের কাজ জানা থাকলে পর্তুগালে বেশি অর্থ উপার্জন করা যায়।তবে ডেলিভারি বয়, দোকানের সেলসম্যান, রেস্টুরেন্টের শেফ, এসব কাজে শুরুতে বেতন কম হলেও অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেক বেশি বেতন পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীদের জন্যও পার্টটাইম কাজের সুযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে লেখাপড়া শেষ হলে আইন বিভাগ, ডাক্তার, ম্যানেজমেন্ট ও আইটি সেক্টরে কর্মীর চাহিদা প্রচুর। এবং এসব কাজে দক্ষ হলে পর্তুগালে সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া যায়।
পর্তুগালে কাজের বেতন
পর্তুগালের বেতন কাঠামো সেই দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়ে থাকে। এখানে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ৭৫০ ইউরো থেকে ৮২০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে ২০২৬ সালের মধ্যে পর্তুগালের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ৯০০ ইউরো ছাড়িয়ে যাওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বেতন কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে, তাই পেশাভেদে বেতনের ভিন্নতা রয়েছে।
বর্তমানে পর্তুগালের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ৮২০ ইউরো, যা ১ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। তবে নতুন অবস্থায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের কিছুটা কম বেতন দেওয়ারও প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
📍 যোগাযোগের ঠিকানা: SJ Global Network
Cell / WhatsApp:
+88 01631-489273 (Nizam)
+88 01410-055547 (Roman)
+88 01600-375371 (Tosher)
+88 01894-777745