নর্থ মেসিডোনিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি উদীয়মান দেশ, যেখানে দক্ষ কর্মীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ। বর্তমান সময়ের প্রবাসীপ্রত্যাশীদের জন্য সবচেয়ে আলোচিত এক গন্তব্য হলো মেসিডোনিয়া কাজের ভিসা। বিশেষ করে যারা ইউরোপে কম খরচে বৈধভাবে কাজ করতে চান, তাদের জন্য নর্থ মেসিডোনিয়া হয়ে উঠছে একটি কার্যকর বিকল্প। সহজ শর্ত, তুলনামূলক কম প্রতিযোগিতা, এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এটি বাংলাদেশিদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
নর্থ-মেসিডোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
ইউরোপে বৈধভাবে কাজ করার একটি দারুণ সুযোগ এসেছে! নর্থ মেসিডোনিয়ায় এখন ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার এবং কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার পদে নিয়োগ চলছে। যারা পরিশ্রমী, দায়িত্বশীল এবং নিজের ভবিষ্যৎকে আরও এগিয়ে নিতে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।
অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় মেসিডোনিয়ায় কাজের চাপ তুলনামূলক কম এবং শ্রমিকদের প্রতি আচরণও মানবিক। যারা দক্ষ না হয়েও বৈধ পথে কাজ করতে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি দারুণ শুরু।
২০২৫ সালে মেসিডোনিয়া কাজের ভিসা পেতে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে কিছু নতুন নিয়ম ও সুবিধা। আগে যেখানে ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় লাগত, এখন অনেক বেশি সংগঠিত ও সহজতর হয়েছে প্রক্রিয়াটি। কাজের সুযোগ মূলত নির্মাণ, কৃষি, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও কারখানাভিত্তিক খাতে বেশি দেখা যাচ্ছে।
ফলে দক্ষ, আধা-দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য এখানকার শ্রমবাজারে এখন বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যারা পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশে প্রবেশ করতে চান, তারা নর্থ মেসিডোনিয়া দিয়ে শুরু করতে পারেন।
এই ভিসাটি সাধারণত যেসব ব্যক্তি এখানে বৈধভাবে কাজ করতে চান, তাদের জন্য ইস্যু করা হয়। আবেদনকারীকে অবশ্যই একটি নিশ্চিত কাজের অফার থাকতে হবে এবং স্থানীয় নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়।
যদিও এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশ নয়, তবুও শেঙ্গেন অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়ায় এর ভ্যালু কিছুটা বেশি। তাছাড়া এখান থেকে বৈধ থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেকেই অন্য ইউরোপীয় দেশে কাজের সুযোগের জন্য আবেদন করে থাকেন।

📁 ফাইল জমা দিতে যা লাগবে :
🎯 পাসপোর্ট
🎯 ছবি
🎯 পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
🎯 একাডেমিক সার্টিফিকেট SSC/HSC (যদি থাকে)
নর্থ মেসিডোনিয়া কাজের ভিসা হতে কতদিন লাগে, বেতন কত?
নর্থ মেসিডোনিয়ায় এখন ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার এবং কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার পদে নিয়োগ চলছে। যারা পরিশ্রমী, দায়িত্বশীল এবং নিজের ভবিষ্যৎকে আরও এগিয়ে নিতে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। বিশেষ করে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে অনেকেই সেখানে কাজের সুযোগ নিচ্ছেন। যারা ইউরোপে বৈধভাবে কাজ করে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চান, তাদের জন্য নর্থ মেসিডোনিয়া কাজের ভিসা হতে পারে একটি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বিকল্প।
এই ভিসার সম্পূর্ণ প্রসেসিং সময় সাধারণত ৬ থেকে ৮ মাস লাগে। শুরুতে আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন—পাসপোর্ট, ছবি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং একাডেমিক সার্টিফিকেট (যদি থাকে) জমা দিতে হয়। সাধারণত দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে অনুমোদিত হয়। ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদন পাওয়ার পর ভিসা প্রসেস শুরু হয়, যেখানে দূতাবাসের যাচাই, ডকুমেন্ট ক্রস-চেক এবং ফাইনাল ভিসা ইস্যু সম্পন্ন হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হলে ম্যানপাওয়ার কার্ড ও ফ্লাইটের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
বেতন সাধারণত মাসে ৭০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা দেশে একই কাজের তুলনায় বেশ আকর্ষণীয়।
এই পুরো প্রক্রিয়ায় ধৈর্য ও সঠিক ডকুমেন্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নর্থ মেসিডোনিয়া কাজের ভিসা এমন একটি সুযোগ, যা পরিশ্রমী মানুষের জীবন পাল্টে দিতে পারে। সঠিকভাবে আবেদন ও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ইউরোপে বৈধভাবে কাজের দরজা খুলে যায়। তাই যারা নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চান, তারা আজই এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন।
📍 যোগাযোগের ঠিকানা: SJ Global Network
Cell / WhatsApp:
+88 01631-489273 (Nizam)
+88 01410-055547 (Roman)
+88 01600-375371 (Tosher)
+88 01894-777745